কৃষক বন্ধু প্রকল্প ২০২৫

পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের আর্থিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রদান করার উদ্দেশে কৃষক বন্ধু প্রকল্প চালু করা হয়

krishak bandhu prokalpa 2025

কৃষক বন্ধু প্রকল্প ২০২৫

কৃষক বন্ধু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি জনপ্রিয় প্রকল্প। পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের আর্থিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ২০১৯ সালে “কৃষক বন্ধু প্রকল্প” (Krishak Bandhu Prakalpa) চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা কৃষিকাজ করার জন্যে বছরে দুই কিস্তিতে আর্থিক সহায়তা পান।

কৃষক বন্ধু প্রকল্প কী ?

প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বিবরণ

কৃষক বন্ধু প্রকল্প হলো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি উদ্যোগ, যা রাজ্যের কৃষকদের আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করে।

প্রধান সুবিধাসমূহ

  • আর্থিক সহায়তা: কৃষকরা প্রতি বছর দুটি কিস্তিতে (খরিফ ও রবি মৌসুমের আগে) মোট ১০,০০০ টাকা (১ একর বা তার বেশি জমির জন্য) অথবা ৪,০০০ টাকা (১ একরের কম জমির জন্য) পান।
  • মৃত্যুকালীন সহায়তা: ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী কোনো নথিভুক্ত কৃষকের দুর্ঘটনা জনিত অকাল মৃত্যু হলে, তার পরিবার ২ লক্ষ টাকা এককালীন আর্থিক সহায়তা পায়।
  • ফসলের ক্ষতিপূরণ: প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন বন্যা, ঝড়-বৃষ্টি, অতিরিক্ত খরা ইত্যাদি সময়ে ফসল নষ্ট হয়ে গেলে, নথিভুক্ত কৃষকরা ফসলের ক্ষতিপূরণ স্বরূপ আর্থিক পায়।

এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো কৃষকদের চাষাবাদে সহায়তা করা এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।

প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য:

প্রকল্পের নাম:
কৃষক বন্ধু প্রকল্প (krishak bandhu scheme)
সূচনা ও প্রতিষ্ঠাতা:
পশ্চিমবঙ্গ সরকার
পরিচালিত বিভাগ:
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ বিভাগ
অফিসিয়াল সাইট:
আবেদন পদ্ধতি:
অনলাইন ও অফলাইন
সহায়তার পরিমান:
সর্বনিম্ন » ₹4000 প্রতি বছর (2000+2000)
সর্বোচ্চ » ₹10000 প্রতি বছর (5000+5000)
কৃষকের মৃত্যুতে সহায়তা:
এককালীন ₹ 2,00,000 টাকা
প্রকল্পের গ্রাহক:
পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী কৃষক
WhatsApp Group Button (Blinking Border)
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মূল বৈশিষ্ট্য

কৃষক বন্ধু প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে তাদের পশে দাঁড়ানোর জন্য চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট রয়েছে সেগুলি নিচে দেওয়া হলো :

আর্থিক সহায়তা

কৃষকদের বছরে দুবার (খরিফ ও রবি মরসুমে) চাষের জন্যে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে

আর্থিক সহায়তার টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়।

মৃত্যুকালীন সহায়তা

কৃষকের মৃত্যুর ক্ষেত্রে পরিবারকে ₹ ২ লক্ষ টাকা বীমার আর্থিক সহায়তা করা হয়।

প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষতিপূরণ

প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে ফসল নষ্ট হলে, নথিভুক্ত কৃষকরা ফসলের ক্ষতিপূরণ স্বরূপ আর্থিক পায়।

সহজ আবেদন প্রক্রিয়া

অনলাইন ও অফলাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খুব সহজে এই প্রকল্পে আবেদন করা যায়।

স্বয়ংক্রিয় টাকা জমা

একবার রেজিস্ট্রেশন করলে পরবর্তীতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাকা জমা পড়বে।

কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদনের যোগ্যতা

কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীকে কিছু যোগ্যতা পূরণ করতে হয়, সেগুলি নিচে দেওয়া হলো :

বাসস্থান

আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

কৃষি জমি

আবেদনকারীর নামে নূন্যতম চাষ যোগ্য জমি থাকতে হবে।

কর্ম ক্ষেত্র

কৃষিকাজে নিযুক্ত আছেন এমন ব্যাক্তি আবেদন করতে পারবে।

জমির মালিকানা

অবশ্যই জমির মালিক বা পাট্টাধারী বা বর্গা কৃষক হতে হবে।

বয়স সীমা

আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছর থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।

পরিচয়পত্র

পশ্চিমবঙ্গের বৈধ পরিচয়পত্র (ভোটার আইডি / আধার কার্ড) থাকতে হবে।

কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদনের প্রয়োজনীয় নথি

কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করে এই প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্যে আপনার কাছে কিছু বিশেষ নথি থাকার প্রয়োজন হয়, সেগুলি নিচে দেওয়া হলো :

ভোটার কার্ড

পরিচয় প্রমাণের জন্য ভোটার কার্ড প্রয়োজন।

আধার কার্ড

পরিচয় ও ঠিকানা প্রমাণের জন্য আধার কার্ড প্রয়োজন।

জমির রেকর্ড

জমির রেকর্ড / পাট্টা / খাজনা রসিদ জমির মালিকানা প্রমাণের জন্য।

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস

আর্থিক সহায়তার টাকা সরাসরি ব্যাঙ্কে পেতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বিবরণ প্রয়োজন।

পাসপোর্ট সাইজ ছবি

আবেদনকারীর সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

মোবাইল নম্বর

যোগাযোগের ও আবেদনের সময় OTP দেওয়ার জন্য একটি সক্রিয় মোবাইল নম্বর প্রয়োজন।

মৃত্যু ক্লেমের ক্ষেত্রে

মৃত্যুর সার্টিফিকেট ও সম্পর্কের প্রমাণ (যদি প্রযোজ্য হয়)।

কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন পদ্ধতি

কৃষক বন্ধু প্রকল্পে অনলাইন ও অফলাইন দুই ভাবেই আবেদন করা যায়।

অনলাইন আবেদন পদ্ধতি

কৃষক বন্ধু রেজিস্ট্রেশন অনলাইন প্রক্রিয়াটি বেশ সহজ। নিচে ধাপে ধাপে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন

প্রথমে, আপনার কম্পিউটার বা মোবাইলের ব্রাউজার থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি দপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি খুলুন Official site link

"নতুন কৃষক নিবন্ধন" অপশনটি খুঁজুন

ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর, "নতুন কৃষক নিবন্ধন" (New Farmer Registration) বা "আবেদন করুন" (Apply Online) এর মতো একটি অপশন দেখতে পাবেন। এই অপশনটিতে ক্লিক করুন।

মোবাইল নম্বর এবং ক্যাপচা যাচাই করুন

একটি নতুন পেজ খুলবে যেখানে আপনাকে আপনার সক্রিয় মোবাইল নম্বর দিতে বলা হবে। মোবাইল নম্বর দেওয়ার পর একটি ক্যাপচা কোড পূরণ করতে হবে। এরপর "Generate OTP" বাটনে ক্লিক করুন। আপনার মোবাইলে একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (OTP) আসবে।

OTP প্রবেশ করান এবং যাচাই করুন

আপনার মোবাইলে আসা OTP টি নির্দিষ্ট স্থানে প্রবেশ করান এবং "Verify" বাটনে ক্লিক করে মোবাইল নম্বরটি যাচাই করুন।

আবেদন ফর্ম পূরণ করুন

OTP যাচাই করার পর, কৃষক বন্ধু অ্যাপ্লিকেশন ফর্মটি আপনার স্ক্রিনে চলে আসবে। এই ফর্মে আপনাকে ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা, ব্যাংক তথ্য এবং জমির তথ্য পূরণ করতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করুন

ফর্ম পূরণের পর, আপনাকে উপরে উল্লিখিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। নিশ্চিত করুন যে ফাইলগুলি সঠিক ফরম্যাটে (যেমন PDF, JPEG) এবং নির্দিষ্ট আকারের মধ্যে রয়েছে।

ফর্ম জমা দিন

সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করার পর, একবার ফর্মটি ভালোভাবে যাচাই করে "Submit" বাটনে ক্লিক করুন। আপনার আবেদন সফলভাবে জমা পড়লে একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি বা রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাবেন। এটি ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণ করে রাখুন।

বর্তমানে অনলাইন আবেদন পদ্ধতি বন্ধ রয়েছে, কিন্তু আপনি চাইলে অফলাইনে আবেদন করতে পারেন।

অফলাইন আবেদন পদ্ধতি

ফর্ম সংগ্রহ করুন

কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আবেদন আবেদন ফর্মটি সংগ্রহ করুন, যেকোনো জেরক্স এর দোকানে পাবেন বা অনলাইন থেকেও ডাউনলোড করতে পারেন, form download link

ফর্ম পূরণ করুন

ফর্মটি আপনার সঠিক তথ্য দিয়ে ও নির্ভুল ভাবে পূরণ করুন।

নিজের তথ্য

আপনার ডকুমেন্ট অনুযায়ী নাম, ঠিকানা ও ব্যাঙ্ক একাউন্টের তথ্য প্রদান করুন।

জমির তথ্য প্রদান করুন

আপনার নামে যে পরিমান জমি আছে তার সঠিক তথ্য প্রদান করুন।

আধার প্রমাণীকরণ

আধার কার্ডের তথ্য সংগ্রহ করার জন্যে অনুমতি দিন।

নথির কপি প্রদান

আপনার ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক একাউন্ট, জমির রেকর্ড / পর্চা / খাজনা রসিদ - এর জেরক্স ও পাসপোর্ট সাইজ ছবি প্রদান।

ফর্ম জমা করুন

আবেদন ফর্মটি সঠিক ভাবে পূরণ করুন ও সমস্ত তথ্যের জেরক্স কপি সহ আপনার নিকটবর্তী কৃষি অফিস বা ব্লক অফিসে জমা করুন।

আবেদন ফর্ম জমা দিলে আপনাকে একটা রেফারেন্স নম্বর দেবে সেটা দিয়ে আপনি অনলাইনে আপনার আবেদন পত্রটির স্থিতি চেক করতে পারবেন।

কৃষক বন্ধু প্রকল্পের স্ট্যাটাস চেক

কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করার পরে, আবেদনটি অ্যাপ্রুভ হয়েছে কিনা এবং কিস্তির টাকা দেওয়ার সময় আপনার একাউন্টের সব কিছু ঠিক আছে কিনা সেটা জানার জন্য কৃষক বন্ধুর স্টেটাস চেক (Krishak Bandhu Status Check) করা অত্যন্ত জরুরি। অনলাইনে স্ট্যাটাস চেক করার জন্য নিচের ধাপ গুলি ফলো করুন :-

অফিসিয়াল সাইট

সর্বপ্রথম কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অফিসিয়াল সাইটে যান, go to official site

অপসন চয়ন

সাইটে গিয়ে "Select Option" থেকে (Voter card, Adhaar card, Bank A/c no, KBID, MOBILE no, Acknowledgement no) যেকোনো একটি বিকল্প বেছে নিন।

তথ্য প্রদান

যে বিকল্প সিলেক্ট করবেন তার তথ্য পাশের ঘরে প্রদান করুন।

ক্যাপচা প্রদান

ক্যাপচা কোডটি সঠিক ভাবে পাশের ঘরে লিখুন।

সার্চ করুন

সমস্ত কিছু করার পরে search অপসনটিতে ক্লিক করুন, সেখানে আপনার কৃষক বন্ধু সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য দেখতে পাবেন।

হোয়াটস্যাপ স্টেটাস

আপনি চাইলে হোয়াটস্যাপ এর মাধ্যমে ও কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সমস্ত তথ্য পেতে পারেন। হোয়াটস্যাপ এর মাধ্যমে তথ্য পেতে "9830383383" নম্বর এ hi লিখুন।

কত টাকা দেওয়া হয় (Krishak Bandhu Payment)

কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের একাউন্টে দুই কিস্তিতে সর্বনিম্ন ₹4000 থেকে সর্বোচ্চ ₹10000 টাকা দেওয়া হয়। যে কৃষকের জমির পরিমান কম, তাকে কমপক্ষে ₹2000 করে দুই কিস্তিতে ₹4000 টাকা এবং যার জমির পরিমান বেশি তাকে জমির পরিমান অনুযায়ী প্রতি কিস্তিতে সর্বোচ্চ ₹5000 করে বছরে ₹10000 টাকা প্রজন্ত দেওয়া হয়।

জমির পরিমানের ভিত্তিতে টাকার অঙ্ক নিচে দেওয়া হলো

জমির পরিমান প্রতি কিস্তি টাকার পরিমান বছরে মোট টাকার পরিমান
02 ডেসিমল থেকে 40 ডেসিমল প্রজন্ত ₹2000 ₹4000
41 ডেসিমল থেকে 80 ডেসিমল প্রজন্ত ₹3000 ₹6000
81 ডেসিমল থেকে ৯৯ ডেসিমল প্রজন্ত ₹4000 ₹8000
100 ডেসিমল (1 একর) বা তার বেশি ₹5000 ₹10000
কৃষক বন্ধু টাকা কবে দেবে (Krishak Bandhu Payment Date)

কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা দুই কিস্তিতে কৃষকদের একাউন্টে পাঠানো হয়। প্রথম কিস্তি খরিফ মরসুমে অর্থাৎ এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে দেওয়া হয় এবং দ্বিতীয় কিস্তি রবি মরসুমে অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে দেওয়া হয়।

কৃষকের মৃত্যুতে সহায়তা (Krishak Bandhu Scheme Death Benefit)

কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় কোনো কৃষকের দুর্ঘটনা জনিত মৃত্যু হলে তার পরিবারকে দুই লক্ষ টাকার বীমার আর্থিক সহায়তা (Krishak Bandhu Death Benefit) দেওয়া হয়। কৃষক বন্ধু প্রকল্প চালু করার মূল উদ্দেশ্য ছিল পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের পশে দাঁড়ানো, কৃষকের মৃত্যুতে সহায়তা তার একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিক।

কৃষক বন্ধু হেল্পলাইন ও যোগাযোগ

কৃষক বন্ধু প্রকল্পের কোনো সমস্যার সমাধান ও সহায়তার জন্যে নিচে দেওয়া হেল্পলাইনে যোগাযোগ করুন:

টোল ফ্রি নম্বর:
1800-345-5505
অফিস হেল্পলাইন নম্বর:
8336957370 / 6291720406 (Time: 10am - 6pm)
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট:
কৃষি অফিস:
আবেদন ও ক্লেমের জন্য সরাসরি স্থানীয় ব্লক অফিস বা জেলা কৃষি দপ্তরে যোগাযোগ করুন।
উপসংহার

সবশেষে এটা বলা যায় যে, কৃষক বন্ধু প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ কৃষকদের জীবনের মান উন্নত করতে বিশেষ ভুমিকা পালন করছে। যেমন দুই কিস্তিতে আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে কৃষিকাজে অনেক সাহায্য হচ্ছে, তেমনই কৃষকের মৃত্যু জনিত বীমার মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যত নিরাপদ করছে।

তাই যদি আপনি পশ্চিমবঙ্গের একজন কৃষক হন বা কৃষক পরিবারের সদস্য হন, তবে অবশ্যই কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করুন এবং এর সুবিধা গ্রহণ করুন।

কৃষক বন্ধু প্রকল্প প্রশ্ন উত্তর (F.A.Q)
কৃষক বন্ধু কারা আবেদন করতে পারেন ?
পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী যেকোনো নাগরিক যার নামে কিছু পরিমান জমির রেকর্ড বা অন্য কোনো প্রমান পত্র রয়েছে।
কিভাবে কৃষক বন্ধু স্টেটাস চেক করবেন ?
সরাসরি কৃষক বন্ধুর অফিসিয়াল সাইট থেকে প্রকল্পের স্টেটাস চেক করা যায়। কৃষক বন্ধুর অফিসিয়াল হল : https://krishakbandhu.net/
কৃষক বন্ধুর টাকা কতদিনে আসে ?
সরকার টাকা পাঠানোর ১৫ – ২০ দিনের মধ্যে কৃষকের একাউন্টে টাকা জমা পড়ে।
কৃষক বন্ধুর স্টেটাস চেক করার জন্যে কি কি লাগে ?
অনলাইনে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের স্টেটাস চেক করার জন্যে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ব্যাঙ্ক একাউন্ট নম্বর, কৃষক বন্ধু আইডি, মোবাইল নম্বর - এর মধ্যে যেকোনো একটি তথ্য দিয়ে চেক করা যায়।
কৃষক বন্ধুর ক্লেম কবে ফাইল করা যায় ?
কোনো কৃষকের দুর্ঘটনা জনিত মৃত্যুর ক্ষেত্রে বীমার টাকা পেতে কৃষকের মৃত্যুর ৩ মাসের মধ্যে ক্লেম ফাইল করতে হয়।